5 benefits of bathing with cold water during winter

শীতের সকালেও কেন ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন?

একটু শীত পড়তে না পড়তেই গরম পানির দিকে ঝুঁকে পড়ে মানুষ। শীতের দিনে গরম পানিতে গোসল করা শরীরকে গরম রাখার ব্যর্থ এক চেষ্টা। তবে জানেন কি, শুধু গরমের দিনে নয়, শীতের সকালেও ঠান্ডা পানি শরীরকে চাঙা রাখতে সহায়তা করে। শুধু চাঙা রাখা নয়, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।

ফুরফুরে থাকে শরীর

ঠান্ডা পানি শরীরে যেকোনো প্রকার জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে শান্ত ও স্বাভাবিক। এ কারণে টানা অনেকক্ষণ কাজ করার পরও আমাদের শরীরে ক্লান্তি জেঁকে বসে না। দিনের শুরুতে ঠান্ডা পানিতে গোসল শরীরকে ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি ব্যস্ত দিনের শেষে শরীরকে চাঙা করতে ঠান্ডা পানি বেশ উপকারী।

ঠান্ডা পানি শরীরে যেকোনো প্রকার জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে শান্ত ও স্বাভাবিক

ঠান্ডা পানি শরীরে যেকোনো প্রকার জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে শান্ত ও স্বাভাবিকছবি: পেক্সেলস ডটকম

শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে

শুনতে অবাক লাগলেও শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য গরম পানির থেকে ঠান্ডা পানি বেশি কার্যকরী। ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে শরীরে থাকা ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে ও শীতের সময় শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বৃদ্ধি পায় সহ্যক্ষমতা

কনকনে শীতের দিনে ঠান্ডা পানি সহ্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যথা-বেদনার সহ্যশক্তিও বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা পানি। এ ছাড়া রক্তসঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে ঠান্ডা পানি। পেশি ও গাঁটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে।

রোগ প্রতিরোধ করে

শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন সর্দি-কাশি দূর করতেও বড় ভূমিকা রাখে ঠান্ডা পানি। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন, বিশেষ করে শীতের দিনে, তাঁদের অসুস্থতার হার ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন সর্দি-কাশি দূর করতেও বড় ভূমিকা রাখে ঠান্ডা পানি

শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন সর্দি-কাশি দূর করতেও বড় ভূমিকা রাখে ঠান্ডা পানিছবি: পেক্সেলস ডটকম

সুস্থ রাখে চুল


গরম পানিতে গোসল করলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল অনেকটাই দূর করে ফেলে। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, শুষ্ক। ঠান্ডা পানি চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার কিউটিকল যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই উজ্জ্বল ও স্বাভাবিক চুলের দেখা পাওয়া যায় শীতেও।


খুশকি কমায়


ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত গোসল করলে মাথায় খুশকির পরিমাণও কমে আসে। সোরিয়াসিস বা একজিমার মতো রোগের উপশম কমাতে ঠান্ডা পানি বেশি উপকারী। ঠান্ডা পানি মাথা ঠান্ডা রাখতে ও চুলকানি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।


তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

More Reading

Post navigation

Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *